মনপুরা প্রতিনিধিঃ
জেলের তালিকায় নারী মৎস্যজীবীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ভোলার মনপুরা উপজেলার বিচ্ছিন্ন ঢালচরে জেলেদের সঙ্গে জেলে নিবন্ধন হালনাগাদ-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য উপদেষ্টা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আরও বলেন, প্রকৃত জেলেদের তথ্য নিয়ে স্বচ্ছভাবে জেলে নিবন্ধন করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোন রাজনৈতিক প্রভাব কাজে আসবে না। এছাড়াও আমরা বর্তমানে চেষ্টা করছি নিষধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেদের নামে বরাদ্দকৃত ২৫ কেজি চালের পরিবর্তে ৪০ কেজি করা ও ৪০ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজি করা। এবং চালের সাথে ডাল ও তেল দেওয়ার দাবী জেলেদের ন্যায্য দাবী। আমরা সেই দাবী পূরণের চেষ্টা করবো।
তিনি বলেন, অবরোধকালীন সময়ে যেনো ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় এসে অবৈধভাবে মাছ ধরতে না পারে সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং অবৈধ মাছধরা রোধে ভারতের সাথে মিলিয়ে আমাদের নিষেধাজ্ঞা সময় নির্ধারণ করা হবে।
অন্যদিকে সাংবাদিকদের নৌ-পরিবহন ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, জলদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা ও দ্রুত গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিআরডিবি অফিসার মাহতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের অতিরিক্ত সচিব সুরাইয়া আখতার জাহান, বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখন বনিক, বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী জোবায়ের হাসান রাজিব চৌধুরী প্রমূখ।
পরে উপজেলার নতুন তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে জেলে কার্ড বিতরন করা হয়। এসময় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আসা পুরুষ জেলেদের পাশাপাশি নারী জেলেরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভা শেষে উপদেষ্টাদ্বয় চরফ্যাশন উপজেলার কুকরি-মুকরি চরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পরে চর কুকরি-মুকরিতে উপস্থিত হয়ে উপদেষ্টাদ্বয় নবনির্মিত লাইট হাউজ পরিদর্শন করেন।