স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মো. তাজল ইসলাম নামে এক কৃষককে মারধর ও গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষক তাজল ইসলাম জানান, চরকোড়ালমারা মৌজার জেএল-৬১, এসএ ৪১ নম্বর খতিয়ানে ক্রয়সূত্রে ৯১ শতাংশ জমির মালিক লালমোহনের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন। আমি তার জমিগুলো বর্গাচাষ করি। এ নিয়ে লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রহিমপুর এলাকার মৃত মজিবল হকের ছেলে মো. কাঞ্চন (৬০) গংরা বিরোধ শুরু করে। তারই জের ধরে গত ৮ সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকালে জমি চাষ করতে গেলে মো. কাঞ্চন, তার ভাই মো. মফিজ, মো. ছলেমান এবং তার ছেলে মো. মনির বাঁধা দেয়।
তিনি জানান, এ সময় জমি নিয়ে কোনো সমস্যা থাকলে তাদেরকে অধ্যক্ষ রুহুল আমিন স্যারের সঙ্গে কথা বলতে বলি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। গাছের সঙ্গে বেঁধে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন তারা। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে এ ঘটনায় আমি তজুমদ্দিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। যার নং-৩০৫, তারিখ-৯ সেপ্টেম্বর-২৪।
কৃষক তাজল ইসলাম আরো জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বাড়িতে আসি। এরপর সন্ধ্যায় অভিযুক্তরা আবারো এসে আমার বর্গা জমিতে তৈরি করা গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. কাঞ্চনের ভাই মো. মফিজ বলেন, আমাদের জমিতে গোয়াল ঘর করেছিল কৃষক তাজল ইসলাম। তাকে সেটা সরাতে বললেও সে সরায়নি। তাই সেই ঘর নিয়ে এসেছি। এ বিরোধের জেরে তাজল ইসলামের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে তাকে মারধর করা হয়নি।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, ভুক্তভোগী কৃষক আগে কোনো জিডি করেছেন কিনা তা দেখতে হবে। তবে মঙ্গলবার গোয়াল ঘর ভেঙে ফেলার ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।