স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলায় প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার মাছ ধরার বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। নৌবাহিনীর একটি চৌকস দল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আনজুর হাট ও শশীভূষণ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ জাল জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ওই জাল বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে আগুনে পুড়িয়ে ভষ্ম করা হয়।
বাংলাদেশ নৌবাহিনী ভোলা কন্টিনজেন্টের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ মুফতাদিউল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, চরফ্যাশন উপজেলার আনজুর হাট ও শশীভূষণ এলাকার কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ জালের ব্যবসা করে আসছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) নৌবাহিনী, কোষ্ট গার্ড, উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উক্ত এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনার সময় আনজুর হাট বাজারের ৬টি দোকান ও শশীভূষণ এলাকার ৪টির দোকানে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণে অবৈধ জল করা হয়। এ সময় এই ব্যবসার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ওই দুজনকে নিষিদ্ধ জাল বিক্রেতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এদিকে জব্দকৃত ১০ লাখ ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, ২৫ হাজার মিটার চরঘেরা জাল, ৪ হাজার মিটার বেহুন্দি জাল, ২৫০ পিস চায়না চাইজাল, ১৫০ পিস চায়না দুয়ারি জাল ও ২০০ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ৪১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। পরবর্তীতে ওই জাল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমারের উপস্থিতিতে বুধবার (৯ অক্টোবর দুপুরে) ভোলা সদর উপজেলার ভেদরিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় আগুনে পুড়িয়ে ভাষ্ম করা হয়। অন্যদিকে জব্দকৃত ২০০ কেজি পলিথিন পরিবেশ অধিদপ্তরের লোকজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এগুলোর বিষয়ে তারাই পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য মা ইলিশ সুরক্ষায় এবং জাতীয় সম্পদের নিরাপত্তা প্রদানের নিমিত্তে এরূপ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নৌ বাহিনীর ওই কর্মকর্তা। এসময় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং জেলা মৎস্য অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ সহ ভোলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।