1. admin@news.bholarnews.com : admin :
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ অপরাহ্ন

অর্থনৈতিক শুমারির প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশ কাল সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:

আগামী ১০ ডিসেম্বর অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হচ্চে। এই কার্যক্রম চলবে ১৫ দিন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স¤পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পরপর এমন শুমারি করে বিবিএস। ইতোমধ্যেই প্রচারসহ অন্যান্য প্রস্তুতিও শেষ করেছে সংস্থাটি। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (১লা ডিসেম্বর) সকালে ভোলা পৌরসভা হলরুমে (১-৩ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলা শুমারী সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার এবং আইটি সুপারভাইজারদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন, ভোলা জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান।

এসময় প্রধান অতিথি বক্তব্যে মো. আজাদ জাহান বলেন, আপনারা যারা এখানে প্রশিক্ষণ নিবেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ গুলো করবেন তখন অবশ্যই এটা মাথায় রাখবেন যে এটা কিন্তু শুধু জরীপ নয়, এটা আপনাদের গুরু দায়িত্ব। আপনাদের তথ্যের ভিত্তিতে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রনয়ণের পথ সুগম করবে। অতএব তথ্য নেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে এবং নির্ভূল তথ্য নিতে হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকার দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় নির্ধারন করতে সক্ষম হবে। আর আপনাদের মধ্যে যাঁরা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন, তারা অবশ্যই তথ্যদাতার সাথে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে তথ্য সংগ্রহ করবেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ১ম অর্থনৈতিক শুমারি ১৯৮৬ সালের ২৭-২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এ শুমারিতে প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক কৃষি অন্তর্ভুক্ত ছিল; কিন্তু খানা ভিত্তিক কৃষি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। ১ম অর্থনৈতিক শুমারির নাম ছিল “কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কার্যক্রম ও অক্ষম ব্যক্তিদের শুমারি-১৯৮৬”। ২য় অর্থনৈতিক শুমারিতে ২০০১ এবং ২০০৩ সালে দুটি পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। শহর এলাকায় ২০০১ সালের ২৭-৩১ মে এবং পল্লী এলাকায় ২০০৩ সালের ২০-২৬ এপ্রিলে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ৩য় অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এ শুমারির তথ্যও দুটি পর্যায়ে সংগ্রহ করা হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০১৩ সালের ১৫-২৪ এপ্রিল ৩৭টি জেলা এবং ২য় পর্যায়ে ৩০ এপ্রিল থেকে ১০ মে অবশিষ্ট ২৭টি জেলার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ২০১৩ সালের শুমারিতে প্রথমে সকল প্রতিষ্ঠান এবং খানা লিস্টিং করা হয়। পরবর্তীতে সকল প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক কর্মকা- সম্বলিত খানা হতে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।

অর্থনৈতিক শুমারি-২০২৪ এর আওতায় ইতোমধ্যে সারাদেশের অর্থনৈতিক ইউনিটের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ তালিকার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক শুমারির গণনা এলাকা প্রস্তুত করা হয়েছে। মূল শুমারিতে গণনা এলাকায় অবস্থিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পন্ন খানা ও প্রতিষ্ঠানসমূহ হতে আগামী (১০-২৬ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে।

জেলা পরিসংখ্যান উপপরিচালক মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক (উপসচিব) প্রশাসক ভোলা পৌরসভা মো. মিজানুর রহমান, ভোলা পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদসহ প্রমূখ।

 

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ