আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ঝাড়খন্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় আবারও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, ঝাড়খন্ডে দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে বিজেপি। একই সঙ্গে ঝাড়খন্ডকে ‘রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ মুক্ত করবে বিজেপি। তাদের পা উপরের দিকে দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সাইডলাইনে যখন বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের সাথে ভারতীয় মন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে– তার আগে এমন কথা বলেছেন বিজেপির এই সিনিয়র নেতা।
ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম), রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেস ভোটের জন্য কথিত অনুপ্রবেশকারীদের সহায়তা করছে এমন অভিযোগ করে অমিত শাহ বলেন, ভোটব্যাংক হারানোর ভয়ে এসব দল অনুপ্রবেশ বন্ধ করছে না। ভোটাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, যদি আপনারা ঝাড়খন্ডের সরকার পরিবর্তন করেন তাহলে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি- ঝাড়খন্ড থেকে একজন একজন করে সব রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে বের করে দেবে বিজেপি।
তিনি আরো বলেন, কেবল বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন বা জেএমএম-কংগ্রস-আরজেডির জোট সরকারের পরিবর্তন বা সে জায়গায় বিজেপির রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠা করা তাদের উদ্দেশ নয়। ভোটারদের উচিত দুর্নীতিবাজ সরকারকে হটিয়ে দেওয়া। আর এমন একটি সরকারকে ক্ষমতায় আনা– যারা দুর্নীতি বন্ধ করবে।
“যে সরকার অনুপ্রবেশকারীদের মাধ্যমে উপজাতি মেয়ে এবং তাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করছে– তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। চাকরির জন্য আমার উপজাতি ভাই ও বোনেরা দেশের বিভিন্ন অংশে যান। এর পরিবর্তে, এমন একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যে সরকার সাঁওতাল পরগণার জন্য কর্মসংস্থান নিয়ে আসবে। আমরা শুধু মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবর্তন করতে চাই না। আমরা চাই ঝাড়খন্ডকে পাল্টে দিতে” – যোগ করেন তিনি।
সাঁওতাল নেতা সিধু ও কানু ১৮৫৫ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতাল বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এদিন তাদের জন্মস্থান ভোগনাদিহ সফর করেন অমিত শাহ। সেখানে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।’