বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধিঃ
বোরহানউডিদ্দনে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে স্থানীয় বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কারিগরী শাখার গণিতের সহকারী শিক্ষক রক্তিম চন্দ্র শর্মাকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পরিচালনা কমিটির জরুরী সভায় ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে সকালে বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পৌর বাজারে বিক্ষোভ করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে তাঁর কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাতে-নাতে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে পৌরসভার হাওলাদার মার্কেটে রক্তিম শর্মার মালিকাধীন “শর্মা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার” এ ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে জনতা। তাঁরা দোকানটি ঘিরে ফেলে। উত্তেজিত জনতা ওই শিক্ষককে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। মুহুর্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচার দাবি করে শত শত পোস্ট দেখা গেছে। শিক্ষক রক্তিম শর্মা উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সত্য হরি শর্মার ছেলে।
জানা যায়, শিক্ষক শর্মা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে হাওলাদার মার্কেটে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। বুধবার সকালে এক মুসলিম ছাত্রী একা তাঁর কম্পিউটার সেন্টারে যান। স্থানীয়রা ওই কম্পিটার সেন্টারে গিয়ে শিক্ষক ও ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থা দেখতে পান।এরপর তাদেরকে ওই কম্পিউটার সেন্টারের ভিতর আটক করে রাখেন। ওই সময় ট্রেনিং সেন্টারের ভিতর জন্মনিরোধ সামগ্রীসহ অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায়। ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিচারের দাবিতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন নেয়ার চেষ্টা করেন। উত্তেজিত জনতা শিক্ষক রক্তিম শর্মা কে জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশ ভ্যানে তুলতে বাধ্য করেন। পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও উত্তেজিত জনতা মারধর করার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, এ শিক্ষকসহ আরও ২ জন শিক্ষক এর আগেও এরকম একাধিক অনৈতিক কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যান। তাই তারা এ শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। পাশাপাশি পূর্বের অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারন দাবি করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য মো: রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫দিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিবেন। পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি খালেদা খানম বলেন, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে। দোষী প্রমাণিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো: সিদ্দিকুর রহমান জানান, ওই শিক্ষককে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।