স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা, চিকিৎসক সংকট, দালাল ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং নিন্মমানের স্বাস্থ্যসেবার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল থেকে তারা হাসপাতালে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
পাঁচদফা দাবির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা হাসপাতালের সিভিল সার্জন ও তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় নির্ধারিত সময়ের পরে কর্মস্থলে আসা অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. ফায়জুল হককে অভিনব শ্লোগানের মাধ্যমে তারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টায় কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ডা. ফায়জুল হক আসেন বেলা সাড়ে ১১টায়। এর আগে তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী দেখেন বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় হাসপাতালের চেম্বারে অন্তত অর্ধশতাধিক রোগী অপেক্ষায় ছিলেন। চিকিৎসক হাসপাতাল চেম্বারে না গিয়ে সোজা দোতলায় উঠতে গেলে ছাত্ররা তার পথরোধ করে শ্লোগান দিতে থাকেন।
ছাত্র-জনতার অভিযোগ, হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই চিকিৎসক সংকট, দায়িত্বে অবহেলা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব রয়েছে। চিকিৎসা না পেয়ে সম্প্রতি কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলনকারীরা দ্রুত মেডিকেল কলেজ স্থাপন, জনবল সংকট নিরসন ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের দাবি জানান।
আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেন মেহেদী হাসান, মাহাদী হাসান, রাহিম ইসলাম, মো. শরীফ হাওলাদার, মাহফুজ, আরাফাত ইসলাম, সাইদুর রহমান ও সৌরভ।
মতবিনিময় শেষে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম বলেন, ‘হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা ও শূন্য পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে সংকটের মধ্যেও সেবা নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। দেরিতে আসা চিকিৎসকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সিভিল সার্জন ডা. মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থীদের দাবিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ভোলার ২২ লাখ মানুষের একমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এই ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল। সেখানে ৬১ জন চিকিৎসকের স্থানের বিপরীতে বর্তমানে মাত্র ২৩ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন।