নিউজ ডেস্কঃ
২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিয়োগ বঞ্চিতরা।
বুধবার (৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ২০১৮ সালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরও তাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল। এই চাকরি প্রার্থীরা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দেওয়ার পরও তাদেরকে চাকরিতে নিয়োগ দেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। এর পেছনে ছিল পতিত স্বৈরাচারের গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। তার নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রাখতেই মেধাবীদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই আন্দোলনকারীদের দাবি, ২০১৮ সালের ৪ হাজার শূন্য পদে যেন তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়, আমরা এই দাবির সঙ্গে সংহতি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান দ্রুত সময় তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আওয়ামী লীগের দোসররা রয়েছে। তারা সেখান থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপক্ষ নিয়ে যারা হাসিনাকে রক্ষার জন্য কাজ করেছিল তাদের অনেকেই বহাল তবিয়তে রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিগত সময় বঞ্চিত মেধাবীদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়োগ ও পদোন্নতি দিতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের আরেক উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল যৌক্তিক দাবির পক্ষের থাকার কথা থাকলেও তাদের সেরকম পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। যার ফলে বিভিন্ন সময় মবের সৃষ্টি হচ্ছে।’ এসময় আন্দোলনরত সকলের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে আরও বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য সাকিব হোসাইন, এ ছাড়া আন্দোলনরত নেতারা বক্তব্য রাখেন।