স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার বিএনপি অফিস ভাংচুর ও টিভি চুরির মামলার আসামীর তালিকায় রয়েছেন, দৌলতখান উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সম্পাদক।
তদন্ত শেষে দুই দিন আগে আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মাহমুদ হাসান।
মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ পেলে ক্ষোভ জানান, দৌলতখান প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দসহ জেলার সাংবাদিকরা।
ভবানীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত আলী হোসেনের ছেলে মোঃ সেলিম বাদি হয়ে গেল বছরের ২ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
আসামি করা হয় চিহ্নিত ৩১ জন। অজ্ঞাত ৫০ জন। আসামীর তালিকার ১২ ও ১৩ নং তালিকায় রয়েছেন দৌলতখান প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি দৌনিক আমাদের সময়’র প্রতিনিধি মোঃ মহিন ও সাবেক সাধারন সম্পাদক দৈনিক ভোরের কাগজ দৌলতখান প্রতিনিধি মেহেদী হাসান শরীফের নাম।
এমন তালিকা দেখে তাজ্জব বনে যান সাংবাদিকরা। ক্ষোভ ও নিন্দা জানান প্রেসক্লাব সদস্যসহ সাংবাদিকরা। মামলায় টিভি চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এদের বিরুদ্ধে।
আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিলে চিহ্নিত ৩১ জন আসামির মধ্যে ১৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলা থেকে ১১জনকে ঘটনার সাথে জরিত নন বলে উল্ল্যেখ করেন।
ওই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, পৌর মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার আসামী রয়েছেন। অপরদিকে তদন্তকালে ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এরা প্রত্যেকে উপজেলা বিএনপির পদপদবিতে রয়েছেন।
মামলায় বিএনপি নেতা সেলিম উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৩১ মে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালনকালে আসামীরা দলবদ্ধ হয়ে হামলা করে, বোমা ফাটায় ও টিভি, সিলিং ফ্যানসহ আসবাব পত্র নিয়ে যায়।