চরফ্যাশন প্রতিনিধিঃ
চরফ্যাশনে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে অবাধে নিধন হচ্ছে বাগদা ও গলদা চিংড়ির রেনু পোনা। উপজেলার ২০ ঘাটে ভ্রাম্যমান জেলেরা পাঁচটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গলদা ও বাগদা রেনুর নিধনে ব্যস্ত। এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন প্রতিরোধ তৎপরতা নেই। রেনু পোনা নিধনে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা। অভিযোগ আছে সিন্ডিকেটের মূল হোতা আড়ত মালিক মাদ্রাজ এলাকার ইউপি সদস্য রাছেল, পাচ কপাট এলাকার ইউনুস, ঘোষের হাট এলাকার তেতুলিয়া নদীতে জাহাঙ্গীর চর মানিকা ইউনিয়নের চর কচ্ছপিয়া এলাকার জাকির ফকির ও ছাবের। এরা প্রশাসনের কর্ম ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে নামমাত্র দাদন দিয়ে ভ্রাম্যমান জেলেদের দিয়ে শিকার করাচ্ছেন চিংড়ি রেনু পোনা। জেলেদের সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাগদা ও গলদা রেনুর ৫ আড়ত মালিকদের অধীনে শতাধিক খুরচা পাইকার রয়েছে। পাইকারদের কাছে১০ হাজার থেকে১৫ হাজার টাকা দাদন নিয়ে নদীতে রেনু পোনা শিকার করেন। ভ্রাম্যমান জেলেদের কাছ থেকে ১০০ রেনু পোনা২০ টাকা করে কিনে নেন। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। জাল পুরিও জেলেদের রোখা যাচ্ছে না।ছোট ছোট জাল নিয়ে জেলেরা নদীতে বাগদা ও গলদা রেনু শিকারে নেমে পড়ে। আমরা অভিযানে যাওয়ার আগে জেলেরা পালিয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান আরো ও জোরদার হবে। তিনি বলেন, মৎস্য বিভাগকে ম্যানেজ করা বিষয়টি সঠিক নয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, এ ব্যাপারে আমি ব্যবস্থা নেব। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ও আমি ব্যবস্থা নেব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বলেন, আমি মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত বাগদা ও গলদা রেনু শিকারের বন্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।