1. admin@news.bholarnews.com : admin :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতুসহ তিন দফা দাবিতে ঢাকায় মানববন্ধন

  • প্রকাশ কাল সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ভোলায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ এবং ভোলার বাসাবাড়িতে গ্যাসের দাবিতে সমাবেশ করেছেন জেলার সর্বস্তরের জনগণ। আজ রোববার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আগামীর ভোলা’ ব্যানারে তারা এ সমাবেশ করেন।

সমাবেশ থেকে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোলায় প্রায় ২৫ লাখ লোকের বসবাস। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ন্যূনতম চিকিৎসা সেবা নেই, মূল ভূখন্ডের সঙ্গে যাতায়াতের জন্য সেতু নেই। ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস থাকলেও তা ভোলার জনগণই ব্যবহার করতে পারে না। জেলায় সাধারণ জনগণের জন্য নাম মাত্র কিছু সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থাকলেও এসব হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা পাওয়া দুষ্কর। মূল ভূখন্ড বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে সড়কপথে ভালো যোগাযোগ না থাকার কারণে ভালোমানের ডাক্তারদের ভোলায় হাসপাতালগুলোতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

‘আগামীর ভোলা’র অন্যতম সমন্বয়ক মৃধা আল আমিন বলেন, ‘গ্যাসসহ যেসব মৌলিক দাবি ছিল তার জন্য আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। বিগত সরকারগুলো ভোলা থেকে শুধু নিয়েছে কিন্তু তাদের মৌলিক যে চাহিদা ছিল তা দেয়নি। তাই আমরা ভোলার সাধারণ মানুষ আজ রাজপথে নেমেছি। যদি ভোলার গ্যাস ভোলার বাইরে নিতে হয় তাহলে ভোলার তিন দাবি বাস্তবায়ন করেই নিতে হবে। এর বাইরে কোনো কিছু ভাবলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।’

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, ‘ভোলা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবুও আমরা অবহেলিত। এখনো আমাদের প্রতিটি ঘরে গ্যাস নেই। প্রতিটি বাড়িতে গ্যাস দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। ভোলা-বরিশাল সেতু অতিগুরুত্বপূর্ণ। এখন পর্যন্ত তা নির্মাণ করা হয়নি। চারদিকে নদী তবুও নানা সংগ্রাম করে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করছে। তবে অনেকের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল কলেজ দরকার। আমি আপনাদের দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কথা দিচ্ছি আগামী ডিসেম্বরে বা ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি তাহলে আপনাদের এ দাবি আমরা বাস্তবায়ন করব।’

তিন দফা আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও ডিআরইউর সাবেক কার্যনিবাহী সদস্য মীর মোহাম্মদ জসিম বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ মেডিকেল কলেজ, সেতু ও গ্যাসের দাবি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা সরকারকে সময় দিয়েছি। আশা করি তারা এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে। সেটা না হলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যাব এবং দাবি আদায় করেই ঘরে ফিরব।’

ভাইকিংস লিমিটেডের সিইও এ কে এম নিজামুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রবিউল আলম, জহিরুল ইসলাম এবং রিয়াজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অন্তর প্রমুখ।

সমাবেশে হাতাহাতি:

ভোলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সেতু নির্মাণ এবং গ্যাস সংযোগ প্রদানের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আগামীর ভোলা’ নামক সংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে এমন ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ চলাকালীন কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে এসে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে লাঠিচার্জ করে একাংশকে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। অল্প সময়ের কর্মসূচি থেকে দাবি আদায়ে জন্য ১৫ দিনের আলটিমেটাম দেন তারা। না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

তবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটনা অস্বীকার করে আগামীর ভোলার পক্ষ থেকে মীর জসিম বলেন, এখানে মেজর কিছু হয়নি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে শুধু।

এদিকে এই বিষয়ে শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, বিভিন্ন দাবি নিয়ে ভোলার বিভিন্ন স্তরের জনগণ সমাবেশ করতে এসেছিলেন। এসময় তারা প্রেসক্লাবের ভেতরে নিজেদের মধ্যে ক্ষিপ্ত আচরণ করেছিলেন। যেহেতু জাতীয় প্রেসক্লাব একটি সংরক্ষিত এলাকা তাই পুলিশ তাদের সেখান থেকে কঠোর অবস্থানে গিয়ে বের করে দেয়।

 

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ