1. admin@news.bholarnews.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০০ পূর্বাহ্ন

লালমোহন সরকারি শাহবাজপুর কলেজের প্রধান ফটক ক্ষতিগ্রস্ত, রাস্তা বন্ধের দাবি শিক্ষার্থী

  • প্রকাশ কাল মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫

লালমোহন প্রতিনিধিঃ

নির্মাণের এক মাস না পেরোতেই অজ্ঞাত যানবাহনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার লালমোহনের ঐতিহ্যবাহী সরকারি শাহবাজপুর কলেজের প্রধান ফটক। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কলেজের মধ্যে দিয়ে যানবাহন ও মালামাল পরিবহণের রাস্তাটি বন্ধ করে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। পাবলিক পরিবহণ বন্ধ করা, বহিরাগতদের চলাচল সীমীত করা এবং কলেজ ক্যাম্পাসের মাঝখানের সড়কের বিকল্প সড়ক নির্মাণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীরা কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন পত্র দিয়েছে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষরসহ অধ্যক্ষ বরাবর আবেদনপত্রটি জমা দেয়।

জানাগেছে, কলেজের নবনির্মিত প্রধান ফটকের দুইটি পিলারের পলেস্তারাসহ টাইলস ভেঙ্গে পড়েছে। দুইটি পিলারে অন্তত বারোটি টাইলসসহ পলেস্তারা খসে পড়েছে। উপস্থিত লোকজন মনে করেন, রাতের আধারে নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহনের আঘাতে পিলারটি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কলেজের মধ্যে দিয়ে যাওয়া ওই সড়কে উচ্চ গতিতে যানবাহন চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে। মালামাল ও যাত্রী পরিবহণ চলাচলের ফলে উচ্চ শব্দ ও ধুলাবালিতে কলেজে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

রাকিব নামে এক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, কলেজের মাঝ দিয়ে এমন রাস্তা থাকলে কলেজের নিরাপত্তা থাকে না। এখন গেইটে আঘাত করেছে: আরেকদিন হয়তো শিক্ষার্থীরা আহত হবে। আমরা কলেজের মাঠ এবং কলেজ ভবন একই বাউন্ডারিতে রাখার দাবি জানাই।

কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো: মুসা বলেন, একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সর্বসাধারণ ও গণপরিবহণ চলাচলের রাস্তা থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে অচিরেই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হোক।

এ বিষয়ে সরকারি শাহবাজপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো: শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের আবেদন পেয়েছি। কলেজের মধ্য দিয়ে যে সড়কটি আছে তার বিকল্প সড়ক করার মতো পর্যাপ্ত জমিও আছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শক্রমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করব।

প্রসঙ্গত, পূর্বে সরকারি শাহবাজপুর কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও খেলার মাঠ একই বাউন্ডারিতে ছিল। বিগত সরকারের আমলে কলেজের মাঠ খনন করে পুকুর করা হয় এবং কলেজের পুকুর ভরাট করে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল পার্ক’ স্থাপন করা হয়। কলেজ ও পার্কের বাউন্ডারির মাঝ দিয়ে যায় রাস্তা। ফলে কলেজ মাঠটি কলেজের মূল ক্যম্পাস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ মাঠটি আয়ত্বে নিলেও মাঝখানের সড়ক ও আলাদা বাউন্ডারির কারণে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ