স্টাফ রিপোর্টারঃ
ভোলা সদর উপজেলায় জমি বন্ধকের পাওনা টাকার জন্য মো: শাজাহান (৬৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের স্লুইসগেট এলাকায় সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহজাহান উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনয়নে ৬নং ওয়ার্ডের চর আনন্দ এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানাযায়, মরহুম সুলতান আহমেদ চকিদারের ছেলে শাজাহান মিয়া একই এলাকার সিরাজ মাঝির কাছে নাল জমি বন্ধক রেখে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। জমি জুলাই-আগস্টের পর বে-দখল হয়ে যান শাজাহান মিয়া। পরবর্তীতে বন্ধকী জমির টাকা দাবী করেন সিরাজ মাঝি। ১ লক্ষ টাকা পরিশোধও করেছে শাজাহান মিয়া এবং আস্তে আস্তে বাকি টাকা দিবে বললে সিরাজ মাঝি বিষয়টি মেনে যান। কিন্তু স্থানীয় একটি কু-চক্রীমহল সিরাজ মাঝিকে দিয়ে শাজাহান মিয়ার মালিকানাধীন দোকানে তালা মারেন। ভাড়াটিয়াদের থেকে খবর পেয়ে শাহাজান মিয়া তালা খুলতে গেলে সিরাজ মাঝি ও তার ছেলে রুবেল ও সামিমের সাথে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে মারধার করে। এতে শাজাহান মিয়া সেখানেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাজাহান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাজাহান মিয়ার কন্যা জানান, আমার বাবার মালিকানাধীন দোকানে তালা মেরেছে শুনে ঘুম থেকে উঠে দোকানের কাছে গেলে সিরাজ ও তার ছেলে সামিম, রুবেলসহ আরো কয়েকজন মিলে বাবাকে মারধর করে, এতে বাবা সেখানে অসুস্থ্য পড়েন। পরবর্তীতে আমরা বাবাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী মিলন বেগম বলেন, সিরাজ ঘুষি দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। শাজাহান মিয়ার ছোট ভাই বাবুল চৌকিদার জানান, আমার ভাইকে সিরাজ এক ঘুষি মারছে শুনেছি, এর পরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজ মাঝির বক্তব্য জানতে তার বাড়ীতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার ছেলে আরেক অভিযুক্ত রুবেল মাঝি বলেন, আমার বাবা দোকানে তালা মেরেছে সঠিক, কিন্তু তাকে (শাহাজাহান) কে মারধর করেনি।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, নিহত শাজাহান ও সিরাজের সঙ্গে টাকা পাওনা-দেনা নিয়ে ঝামেলা ছিল। এ বিষয় নিয়ে দুই জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় শাজাহান তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, নিহতের পরিবার দাবি করছে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্ত ও স্থানীয় তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।