রিয়াজ মাহমুদঃ
ভোলা-বরিশাল সেতু, সরকারি মেডিকেল কলেজ, পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপন, ঘরে ঘরে গ্যাস সংযোগ ও স্বৈরশাসক আমলে জেলার গ্যাস বিক্রিতে ইন্ট্রাকো কোম্পানির সাথে করা চুক্তি বাতিলের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। জেলা সদর ভোলার বাংলা স্কুল মাঠে আগামীর ভোলার ব্যানারে আয়োজিত এ সমাবেশে জেলার সাত উপজেলা হতে শতশত ছাত্র-জনতা অধিকার আদায়ের মিছিল নিয়ে সমবেত হয়েছে। ২০ এপ্রিল বেলা ১১ টায় আয়োজিত সমাবেশটি বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত চলমান থাকে। সমাবেশ স্থলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন।
এ সময় পাঁচ দফা দাবী আদায়ের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব, জেলা বিজেপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক, জেলা জামাতে ইসলামীর সেক্রেটারি, পৌর জামায়াতে ইসলামী আমির, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক , ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শহীদ জিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ খালেদা খানম, ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ , ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জেলা ছাত্রদলের ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ এবং ব-দ্বীপ ফোরামের সমন্বয়কারী মীর মোশারফ হোসেন ওমি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও আগামীর ভোলা আন্দোলনের মুখপাত্র মীর মোঃ জসিম উদ্দিন। ছাত্রদল নেতা সানাউল্লাহর সঞ্চালনায় এ সময় বক্তারা সকলেই একবাক্যে হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, ভোলার গণমানুষের এ ৫ দফা দাবীর বিপক্ষে গিয়ে যারা কাজ করবে বা বিরোধীতা করবে তাদেরকে ভোলার গণমানুষের শক্র হিসেবে চিহ্নিত করে, তাদের মুখোশ উন্মোচন করবে এবং তাদের সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
সমাবেশ শেষে সর্বস্তরের জনতা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিন করে ডিসি কার্যালয়ে গিয়ে পাঁচদফা দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।
এদিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শনিবার (১৯ এপ্রিল) দ্বিতীয় দিনেও রাতে গ্যাসভর্তি ইন্ট্রাকো কোম্পানির তিনটি গাড়ী ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বীর শ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস টার্মিনাল এলাকায় আটকে দিয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। এসময় ভোলা সদর উপজেলা ইউএনও আরিফুজ্জামান ও ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসনাইন আহমেদ পারভেজ সেখানে গিয়ে বিক্ষুদ্ধ আন্দোলনকারীদের নিভৃত করতে ব্যার্থ হন।