1. admin@news.bholarnews.com : admin :
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো যাত্রীরা! সম্পদ লঞ্চকে কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ধাক্কা দিনমজুর পরিবারকে বসত বাড়ি থেকে উৎখাতের চেষ্টা ময়নাতদন্ত না থাকায় ভোগান্তি চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে “মেডিকেল কলেজ স্থাপনসহ ৫ দফা দাবীতে” ভোলায় মানববন্ধন ছাত্র-জনতা ইন্ট্রাকোর এলপিজি গ্যাস ভর্তি কাভার্ড ভ্যান ঢাকা নেয়ার পথে আটকে দিলো লালমোহনে সর্বদলীয় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লালমোহনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মৃ*ত্যু ভোলার কাচিয়ায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার ফ্রি চক্ষু ক্যাম্প অনুষ্ঠিত লালমোহনে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে ভোলার পশ্চিম ইলিশায় বাপ ডেকেও রক্ষা হলোনা বৃদ্ধ দুলাল মিয়ার

ভোলার পশ্চিম ইলিশায় বাপ ডেকেও রক্ষা হলোনা বৃদ্ধ দুলাল মিয়ার

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ছেলের বিয়ে, আনন্দ-ফুর্তি পুরো পরিবার ও স্বজনরা, হঠাৎ রতন বাহিনীর আক্রমণে নিমিষেই হারিয়ে গেল আনন্দ-উল্লাস। বিয়ের আনন্দ রেখে এখন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে ষাটোর্ধ দুলাল ও তার স্ত্রী পারভিন এবং সন্তান ফরিদ। ঘটনাটি বৃহস্পতিবার (১৭ই এপ্রিল) ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ৫নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিমের দোকান সংলগ্ম এলাকায় ঘটে। এ ঘটনায় বাক-প্রতিবন্ধী নাছিমাসহ ৪জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে দুলালের অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে দুলাল, ফরিদ ও পারভিন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, দুলাল ও কাশেম ভুইয়া উভয় প্রতিবেশী। কাশেম ভুইয়াদের সাথে বাড়ীর দরজা নিয়ে আরেক প্রতিবেশী মোঃ মনা মিয়ার সাথে বিরোধ। অন্যদিকে মনা মিয়া ও দুলাল পাশাপাশি বাসা হওয়ায় ওই দরজা দিয়ে যৌথ হাঁটা-চলা করেন এবং দুলালের সাথে মনা মিয়ার পারিবারিক সম্পর্ক ভাল। যা কাশেম ভুইয়ার অন্তরে কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। পূর্ব থেকেই কাশেম ভুইয়া পরিকল্পনা করে রেখেছে দুলাল মিয়াকে আক্রমণের। দুলাল মিয়া এসব পরিকল্পনা না জানায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাশেম ভুইয়ার বাড়ীর পাশ দিয়ে নতুন বউয়ের জামাকাপড় সেলাই করতে যাওয়ার পথে তাকে মারধর করেন কাশেম ভুইয়া। এ সময় দৌড়ে পালিয়ে আসেন দুলাল, পালিয়ে এসে স্থানীয় মুরুব্বিদের নালিশ করে কিছুক্ষণ পর ছেলে শেখ ফরিদকে নিয়ে ছোট ছেলে পারভেজের বিয়ের বাজার সামগ্রীসহ বাড়ীতে ফেরার পথে কাশেম ভুইয়া ও তার আত্মীয় রতনসহ ১০/১৫জনের একটি গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসহ আবারো দুলালকে তুলে নিয়ে যান। এ সময় দুলালের ছেলে বাঁধা দিলে তাকেও মারধর করেন কাশেম গংরা। মারধর করে বিয়ের মালামালসহ দুলালকে পেটাতে পেটাতে কাশেমের ঘরে নিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন। এ সময় দুলাল অজ্ঞান হয়ে গেলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলেও জানান দুলালের প্রতিবেশী মনা মিয়া।

এদিকে দুলালের ছেলের ডাক-চিৎকারে প্রথমে দুলালের স্ত্রী পারভিন ও বাক-প্রতিবন্ধী নাছিমা গেলে তাদের ও মারধর করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় রফিক পাটোয়ারীসহ কয়েকজনে গিয়ে দুলালকে অজ্ঞান ও উলঙ্গ অবস্থায় উদ্ধার করেন। রফিক পাটোয়ারী বলেন, জুয়েল যে ভাবে দুলাল কে মারছে, আমি আর কিছুক্ষণ পর গেলে দুলাল হইতো মারা যেতো। মনা মিয়া, রেখা বেগম বলেন রতনের ক্ষমতায় গরুর মত দুলালকে মারছে।

দুলালের বৃদ্ধা মা নুরনাহার বলেন, আমার ছেলেকে ওরা মাইরা পেলতো চাইছে। আমি এর বিচার চাই। চিকিৎসাধীন দুলাল বলেন, কোন কারণ ছাড়াই কাশেম লোকজন নিয়ে আমার উপর এ নির্যাতন চালিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমি বাবা ডাকছি, পা ধরেছি তবুও রক্ষা পাইনি। আজ আমার ছেলের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সব শেষ।

এ বিষয়ে রতন-কাশেম এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাওয়া যায়নি, তবে তাদের নিকটবর্তী আত্মীয় ময়ফুল বেগম বলেন, তারা এখন দুরে আছে, আমার কাছেই শুনুন। দুলাল-মনা মিয়া ডাব পারতে আসছে কাশেম এর গাছে। বাঁধা দেওয়ায় দুলালরা মারধর করেছে কাশেম এর ছেলে ও বউকে। ভোলা সদর থানার ওসি হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি তবে এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ