1. admin@news.bholarnews.com : admin :
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম

দৌলতখানে সৎ মা দ্বারা নির্যাতনের শিকার শিশু রাফিয়া

  • প্রকাশ কাল শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

দৌলতখান প্রতিনিধিঃ

দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নে সৎ মা দ্বারা ৭ বছরের শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মেদুয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জসিমের ৭ বছরের মেয়ে রাফিয়া কে নির্যাতন করেন সৎ মা সালমা।

জসিম জানান, ৬ বছর আগে মেয়ে রাফিয়াকে ২ বছর বয়সে রেখে আমার প্রথম স্ত্রী রাহিমা বেগম মারা জান। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার ২ বছর পরে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। দ্বিতীয় ঘরে আমার ১ বছের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। জসিম আরো জানান, তার প্রথম মেয়েকে প্রায় মারধর করতো সৎ মা। সালমা কিন্তু তাকে জিজ্ঞেস করলে বলতো পরে গিয়ে ব্যথা পাইছে কাঠার সাথে দাগ হইছে। আমি প্রায়ই বাসায় থাকিনা, যখন কাজের জন্য বাহিরে যাই তখনই আমার মেয়েকে সৎ মা সালমা মারে গত ২ দিন আগে আমি বাসায় এসে দেখি আমার মেয়ে রাহিমার পুরা মুখে কাটা দাগ এবং হাতে পায়ে পোরা দাগ। পরে আমি জানতে পারি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী সালমা মুখে এবং হাত পায়ে গরম কুনতি দিয়ে চেকা দিছে। এটা শুনে আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় আটকে রেখে আমার মেয়েকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি এখন ওর চিকিৎসা চলতেছে। জমিস তার দ্বিতীয় স্ত্রী এবং রাফিয়াকে নির্যাতনকারী সৎ মা সালামার বিচার দাবী করেন।

এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমিমের বড় বউ মারা যাওয়ার পরে জসিম দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করে আনার পর থেকেই রাফিয়াকে তার সৎ মা দেখতে পারতো না। প্রায় তাকে মারধর করতো। এর আগে মেরে মথা পাটিয়ে দিছে ১ বার। কিন্তু জমিস সহজ-সরল হওয়াতে তাকে মিথ্যা কথা বলতো যে পড়ে গিয়ে মথা পেটে গেছে। এলাকাবাসীও এই পাষ- সৎ মা সলমার বিচার চান।

 

হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স বলেন, রাফিয়া নামের শিশু টিকে শুক্রবার সকাল ১১ টায় ভর্তি করেন। শিশুটির টির মুখে এবং হাতে পায়ে কুনতি দিয়ে চেকা দেওয়াতে পুরে দাগ হয়ে আছে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

 

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ