নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক সাপেকাটা রোগীর মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সাপেকাটা রোগীর মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্স রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে অবহেলা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কৃর্তপক্ষ। নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লাহ কামাল জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় চরফ্যাসন উপজেলার কলমি ইউনিয়নের আনজুর হাট এলাকার বাসিন্দা মহিমা খাতুন (৩৫)কে নিজ বাড়ির রান্না ঘরে সাপে কাটে। প্রথমিক চিকিৎসা শেষে প্রায় একশ’ কিলোমিটার দুর থেকে রোগী এনে রাত সাড়ে ৩ টায় ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জুনায়েদ ও নার্স রোগীকে ভর্তি করে রক্ত পরীক্ষা করতে দেন। এর পর যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে রোগীকে ফেলে রাখে। এক পর্যায়ে রোগী সুস্থ হয়ে যাবেন বলে আশ্বস্থ করেন। সাপে কাটার ভ্যাকসিনও দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা। রোগীর শ্বাস নিতে কস্ট হওয়া, গলা ভাড়ি হয়ে ওঠা ও কয়েক বার বমি হওয়া সহ অবনতির কথা জানানোর পরও হওয়া সহ অবনতির কথা জানানোর পরও চিকিৎসক ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো স্বজনদের সাথে দুব্যহার করে। রোববার সকাল ৯টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রোগীর মুত্যু হয়।
এদিকে স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ আবু আহাম্মদ শাফী জানান, উর্ধতণ কর্তৃপক্ষের নির্দেশণা অনুযায়ী ডা. কামরুজ্জামান, ডা. শুভ প্রসাদ দাস ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তায়েবুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
নিহত মহিমা খাতুন গৃহীনি ও দুই সন্তানের জননী। তার স্বামী ওবায়দুল্লাহ কামাল ব্যবসায়ী।