স্টাফ রিপোর্টারঃ

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭ খুনের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারসহ ৪ দফা দাবীতে সারাদেশের মতো ভোলাতেও অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন নৌযান শ্রমিকরা। এতে বন্ধ রয়েছে ভোলায় আসা পণ্যবাহী জাহাজের পণ্য খালাস। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে এ কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়।

৪ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে, নিহতের ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন, হত্যার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত কিনা তা তদন্তপূর্বক তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারের জন্য সরকারিভাবে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ ও নৌপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ডাকাতি বন্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ভোলার মেঘনা নদী তীরবর্তী কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেঘনা নদী দিয়ে চলাচলকারী কয়েক শতাধিক লাইটারেজ জাহাজ মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা হয়েছে। নতুন কোনো কোনো জাহাজ এ রুটে আসছেনা। এছাড়া ভোলা জেলা শহরগামী বিভিন্ন পণ্য বোজাই বেশ কয়েকটি জাহাজ মোল্লাপট্রি ব্রিজের আশেপাশে খালে নোঙর করে রেখে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন নৌযানের শ্রমিকরা। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

কর্মবিরতির বিষয়ে খুলনা ,যশোর-নোয়াপাড়া থেকে পণ্যবোঝাই করে ভোলায় আসা জাহাজ এমভি-সামি’র শ্রমিক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা দরকার। চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় আমরা চিন্তিত, সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নদীতে সব সময় আমরা ডাকাত-সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে থাকি। চাঁদপুরের ঘটনার ভয়ে গতকাল আমাদের জাহাজ থেকে দুইজন শ্রমিক চলে গেছে, অনেকে আর আসতে চায় না। সরকারের কাছে আমাদের নিজেদের জীবনের নিরাপত্তাও জাহাজের নিরাপত্তা চাই।

নারায়ণগঞ্জ থেকে চিনি, ময়দা ও তেল বোঝাই করে ভোলায় আসা এমভি আল-মদিনা জাহাজের শ্রমিক শাকিল ও সুমন বলেন, সরকার আমাদের নিরাপত্তাসহ দাবি দাওয়া মেনে নিলে আমরা কাজে যোগ দেব, আমাদের আপত্তি নেই। সরকার এর আগে আমাদের কোনো দাবি মেনে নেয়নি, যার কারণেই কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি।

ভোলা জেলা শহরের ভোলা খালপাড়ের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, জাহাজে আমাদের পণ্য বোজাই রয়েছে। যদি পণ্য বোঝাই জাহাজ সময়মতো ভোলায় না আসে, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।