স্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমোহনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে ছোট বড় অনেক মুরগির খামার। এতে করে একদিকে তরুণদের বেকারত্ব দূর হচ্ছে এবং দেশ অর্থনৈতিক ভাবে উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু এই শিল্পের যথাযথ তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের অভাবে বহু ক্ষতিও হচ্ছে।
প্রথমেই স্থানীয় পরিবেশ দূষণের ফলে জনগণের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, দ্বিতীয় পর্যায়ে মুরগির দ্রুত বৃদ্ধি ও ডিমের জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন ও এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয় যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর, তৃতীয় পর্যায়ে যে সমস্ত খামারে মুরগির সাথে নিচে মাছের চাষ করা হয় ঐ মাছও মানুষের জন্য ক্ষতিকর।
লালমোহনে অধিকাংশ পোল্ট্রি খামারের মালিকগণ নেননি কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং, জানেনা এই ব্যবসায়ের কোনো নিয়ম নীতি।
১/ প্রণি সম্পদ কর্মকর্তার তথ্য মতে ২০০৫ ও ২০০৮ এর ১০.১ আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করে অনুমোদন নিতে হবে।
২/ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্মকর্তা বলেন সরকারি গেজেট ২০২৩ এর তফসিল ৬.৩ অনুযায়ী পরিবেশ অধিদপ্তর’র ছাড়পত্র নিতে হবে এরপর খামারে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে।
৩/ এছাড়াও একজন মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান মৎস্য মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২০ এর১০.২ ও ১৫.১ অনুযায়ী খামারের নিচে মাছের চাষ করতে হলে মৎস্য অফিসের থেকে অনুমতি নিয়ে সমন্বিত পদ্ধতির নিয়ম মেনে মাছ চাষ করতে পারবে।
৪/ একটি খামারে অধিক পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহারের কারণে অগ্নিসংযোগ হতে পারে, এজন্য খামারিরা ফায়ার লাইসেন্স ও সেফটি ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক