স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দুলাল মাতাব্বরের অফিস থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, লগি-বইঠা, ফাইভ, সাবল ও লাঠি উদ্ধার করেছে ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির একটি টিম। রবিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় স্থানীয়রা দুলাল মাতাব্বরের অফিসের গোপন কক্ষে এগুলোর তথ্য পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে সেগুলো উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ভেলুমিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ ইউনুছ কমান্ডার বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল সালাম মাস্টার এর বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক হয়। সেই বৈঠক থেকে তারা সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্পের ছবি নিয়ে বাজারে মিছিল করে হট্টগোল পাকিয়ে আমাদের উপর হামলা চালাবে। আমরা এই তথ্য পেয়ে আমাদের সকল নেতা-কর্মীদেরকে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ দেই। তারা রবিবার ভেলুমিয়া বাজারে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালানোর জন্য দুলাল মাতাব্বরের অফিসের গোপন কক্ষে বোমা তৈরীর সরঞ্জাম, লগি-বইঠা, ফাইভ, সাবল ও লাঠি এনে রাখে। এ খবর আমাদের নেতা-কর্মীদের কানে আসলে তারা সাথে সাথে স্থানীয়দের নিয়ে ওই গোপন কক্ষে কি আছে দেখতে চাইলে দুলাল মাতাব্বরের ছেলে বাবলু ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রকাশনা ও গ্রন্থাগার বিষয়ক সহ-সাধারণ সম্পাদক জুলহাস তাদেরকে বাঁধা দেয়। তাদেরকে বাঁধা দেয়ায় স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ আরো ঘনিভুত হয়। তারা সাথে সাথে ঘটনাটি আমাকে জানান। আমি ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে বিষয়টি অবগত করলে তারা পুলিশের একটি টিম পাঠান। পুলিশ ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সেই গোপন কক্ষে তল্লাশি করে এগুলো উদ্ধার করে।
ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৬ বছর সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। এখন আবার শান্তিময় বাংলাদেশে অশান্তি তৈরি করার জন্য এ ধরনের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র এনে দুলাল মাতাব্বরের অফিসের গোপন কক্ষে রাখে। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি এর সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। যাতে এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার জন্য আর কেউ সাহস না করে।
ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাঈদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে লগি-বইঠা, ফাইভ, একটি সাবল, বাডার ভিতরে কিছু পাউডার পাওয়া গেছে। পাউডারগুলো কি কাজে ব্যবহার করা হয় তা তদন্ত করে তদন্তের প্রতিবেদন দেখে বলতে পারবো।