স্টাফ রিপোর্টার:
১৯৭০ এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ে ১০ লক্ষ নিহতদের স্মরণ উপকূলের সমস্যা, সংকট, সম্ভাবনা এবং উপকূলের মানুষের ন্যায্যতা এবং ১২ই নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দাবীতে ভোলায় আলোচনা সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর-২০২৪) সকালে ভোলা প্রেস ক্লাবে ‘উপকূল ফাউন্ডেশন’ ভোলা ও ইয়ূথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে ১২ই নভেম্বর উপকূল দিবসটি পালিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দৈনিক আজকের ভোলার সম্পাদক ইতিহাসবিদ আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেন।
দৈনিক আজকের ভোলার সহযোগী সম্পাদক ও উপকূল ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী এম শাহরিয়ার ঝিলনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সমাজসেবক মুহাম্মদ আবু তাহের, বাফার পরিচালক জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী মনির চৌধুরী, আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, ভোলা শাখার দাফন কাফন বিভাগের সম্পাদক হাফেজ বনি আমিন, ইয়ুথ পাওয়ার ইন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল-২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আদিল হোসেন তপু, নিরাপদ সড়ক চাই এর জেলা সমন্বয়কারী সোলায়মান মামুন, বিশিষ্ট সমাজসেকক মোঃ নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক মাইনুল এহসান, তারুণ্যের কন্ঠস্বর ভোলার সমন্বয়কারী আব্দুল্লাহ নোমান, কবি মহিউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপকূল ফাউন্ডেশনের জেলা সমন্বয়কারী সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি নিহার মোশারেফ, দৈনিক ভোরের দর্পণ এর জেলা প্রতিনিধি ইমরান ইমু, গ্লোবাল টিভির জেলা প্রতিনিধি অনিক আহমেদ, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি অনিক আহমেদ, টেনটিভির জেলা প্রতিনিধি দাউদ ইব্রাহিম সোহেল, সাংবাদিক রাফসান জনি, বাবুল রানা, অংকুর রায়, খাইরুল ইসলাম প্রমুখ।
—
আলোচনা সভা ও মানববন্ধনে উপকূলবাসীর স্বার্থ সুরক্ষায় ৭০’র বন্যায় স্বজন হারানোর ১২ নভেম্বরকে দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়। এসময় বক্তারা বলেন, উপকূলকে সুরক্ষিত রাখার জন্য টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান, মাটির কিল্লা ও পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্র নির্মানের দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, উপকূলের বিপুল জনগোষ্ঠী জাতীয় অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখছে। তা সত্ত্বেও উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু বিরূপ পরিবর্তনের ফলে এই ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। উপকূলের বহু এলাকা অরক্ষিত থেকে যাচ্ছে যুগের পর যুগ।
উপকূলবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে একটি দিবস ঘোষণা এখন সময়ের দাবি। উপকূল দিবস ঘোষণা করা হলে সরকার, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে উপকূলের গুরুত্ব বাড়বে। এর মাধ্যমে উপকূলের সুরক্ষা ও সেখানকার জনগোষ্ঠীর অধিকার ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে। কর্মসূচীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।