1. admin@news.bholarnews.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাগান-বাড়ি দখল

  • প্রকাশ কাল বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:

ভোলার লালমোহনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জোর করে বাগান বাড়ি দখল এবং বাগানের শুপারি ও পুকুরের মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি লালমোহন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড পূর্ব পাড়া মন্তাজ বেপারি বাড়িতে।
ওই বাড়ির বাসিন্ধা মো. রুহুল আমিন অভিযোগ করে বলেন, ১৯৮৯ সালে এখানে জমি ক্রয় করে ঘরবাড়ি তৈরী করে বসবাস করছি। হঠাৎ করে একটি পক্ষ ২০১৬ সালে আমাকেসহ মোট ৪ জনের নামে আদালতে দেওয়ানি মামলা করে। আমি মামলার জবাব দেয় এবং এখন পর্যন্ত মামলাটি চলমান রয়েছে। এরমধ্যে ২০১৮ সালে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় এবং বলা হয় যে যে অবস্থায় রয়েছে সেসে অবস্থায় থাকবে। আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় এলাকার আনিছল হক গং লালমোহন থানায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন এবং থানাতে দুই বার শালিস বসে আমার ক্রয়কৃত জমি আমাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আমি সেই অনুযায়ী বিএস খতিয়ান করি এবং শান্তিতে বসবাস করতেছি। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর এলাকার আনিছল হক গংরা আমার কাছ থেকে নাকি জমি পাবে এই রকম বিভিন্ন কথা বার্তা বলতে শুরু করে এবং তারা নাকি এখন অনেক বড় নেতা হয়ে গেছে। বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে আমি ভোলাতে যাই। তখন শুনতে পাই আনিছল হক গংরা আমাদের জমি মাপঝোপ করতাছে। আমি ভোলা থেকে এসে বিকেলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতে তারা বলেন আমাদের দলিল দেখে কবির আমিন বলেছে আমরা এখানে জমি পাব এবং সে মাপঝোপ করে দিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে আনিছল হক, তার পাঁচ ভাই এবং তাদের স্ত্রী ও সন্তানেরা হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে আক্রমন করে এবং আমাদের সীমানায় গাছ ও জাল দিয়ে দেয়া বেড়া ভেঙ্গে ফেলে। বাগানে ঢুকে আমার শুপারি গাছ থেকে প্রায় এক হাজার শুপারি নিয়ে যায় এছাড়া পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমি যদি এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি বা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করি তাহলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে তারা। আমি তাদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি আইনের আশ্রয় নিব।
এ ব্যাপারে আনিছল হককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমাদের দলিলের জমি আমরা দখল করেছি। তারা আমাদের জমিতে জাল দিয়ে বেড়া দিয়েছিলো আমরা সেই বেড়া ভেঙে জাল নিয়ে চলে এসেছি। ওটা আমাদের জমি। এই জমি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা ও আদালতে মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান। লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে কোনা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

শেয়ার করুন...

এধরণে আরও নিউজ