স্টাফ রিপোর্টার:
তজুমদ্দিন থানার এস আই এমদাদুলের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও ধর্ষণ মামলার বাদীকে নানাভাবে হয়রানী করার লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হুমায়ুন কবির।
বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ওই লিখিত অভিযোগে তুলে ধরা হয়, গত ২১ মে ২০২৪ ভুক্তভোগীর মেয়ে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগ নেতা সজীব। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর মা তজুমদ্দিন থানায় মামলা করতে চাইলে আসামিরা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় মামলা নেন নাই, শুধুমাত্র ছাত্রী হারিয়ে গেছে বলে থানায় জিডি নেন তজুমদ্দিন থানা। পরবর্তীতে অপহরণকৃত ছাত্রীর পিতা ২০জুন ২০২৪ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণ আইনে ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন এবং বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিতে তজুমদ্দিন থানাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ থাকার পরেও প্রায় ১৭ দিন পর তজুমদ্দিন থানা ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মামলাটি এফ আই আর করেন এবং এস আই এমদাদুলকে মামলাটি তদন্তের জন্য দায়িত্বভার প্রদান করেন।।
অভিযোগে আরো তুলে ধরা হয় তজুমদ্দিন থানা পুলিশ অদ্য পর্যন্ত কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেন নাই, এমনকি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই এমদাদুল আসামিদের গ্রেপ্তার করার খরচ বাবদ নগদ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন ভুক্তভোগী নগদ মাত্র ৫ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন। বাকি টাকা দিতে পারেন নাই বলে এস আই এমদাদুল মামলার প্রায় ৫ মাসে কোন আসামীদের গ্রেপ্তার করে নাই, উল্টো বাদী ও তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। ভুক্তভোগী আরো অভিযোগ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে ধর্ষণ ও অপহরণের সহযোগী ৪জন আসামিকে বাদ দিয়ে শুধু একজন আসামির বিরুদ্ধে সারশিট প্রদান করেন। আমি ন্যায় বিচার পাই নাই।
এদিকে এসআই এমদাদুলের বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স আমলে নিয়ে সহকারী পুলিশ সুপার তজুমদ্দিন সার্কেল কে তদন্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে এসআই এমদাদুল এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি আসামিদের খোঁজাখুজি অব্যাহত রেখেছি, ধর্ষক সজীব এলাকায় থাকেন না।
ঘুষ বাণিজ্যের তদন্তের বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার তজুমদ্দিন সার্কেল জানান, এস আই এমদাদুল এর বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে, আশা রাখেন সুস্থ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য উক্ত অপহরণ ও ধর্ষন মামলার ৫ জন আসামির কাউকে পুলিশ প্রায় পাঁচ মাসেও গ্রেপ্তার করেন নাই। এমনকি জামিন কিংবা অদ্য পর্যন্ত আদালতে কোন আসামি যান নাই। র্সারশিট ভূক্ত আসামী ধর্ষক সজিব প্রকাশ্যে তজুমদ্দিন এলাকায় ঘুড়ে বেড়ান অথচ এস আই এমদাদুল বলছেন আসামিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। জানাযায় ধর্ষক সজীব স্থানীয় ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি। উল্লেখিত ঘটনাটিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। উল্লেখিত মামলা নং- ৬৪/২০২৪ তজুমদ্দিন থানা।