এম. এ. মান্নান, বিশেষ প্রতিবেদক:
জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (HPV) টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করতে ভোলার দৌলতখানে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
গতকাল (২২ অক্টোবর) দৌলতখান হাসপাতালের আয়োজনে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মিলনায়তনে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজর রিনা বেগম এর সভাপতিত্বে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালার প্রধান অতিথি এবং প্রধান বক্তা ডা আনিসুর রহমান বলেন,
আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে ছাত্রীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি। সরকারের উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সহায়তায় এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এ সময় ‘জাতীয় হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকাদান ক্যাম্পেইন’ সার্বিকভাবে সফল করতে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা বিভাগে এই টিকাদান ক্যাম্পেইন সফলভাবে শেষ হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৪ অক্টোবর হতে দেশের অবশিষ্ট ০৭টি বিভাগের ৫ম-৯ম শ্রেণি ও সমমানের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০-১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের ইপিআই নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রে ০১ ডোজ হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজর রিনা বেগম
তাঁর আওতাধীন উপজেলার প্রতিষ্ঠান প্রধানগণকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ উক্ত টিকাদান কর্মসূচি সফল করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, এই টিকাদান কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সহযোগিতা করতে হবে এবং অভিভাবক ও ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচারের নিমিত্তে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকগণ যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে উক্ত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন সেদিকে প্রধানগণকে লক্ষ্য রাখতে এবং সকল সহকারীগণকে এ কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত করতে অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় দৌলতখান উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের মাদ্রাসার প্রধানগন, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।