স্টাফ রিপোর্টার:
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে ৩৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ১৫ কেজি ইলিশ ও ৪টি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ভোলা সদর, লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন, নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বয়ে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, সরকার ঘোষিত মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে মাছ শিকারের যে নিষেধাজ্ঞা চলমান রয়েছে তাতে ভোলা জেলার ৩ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ জেলেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ১৮ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১ জন ও লালমোহন উপজেলায় ৭ জন জেলে রয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় ২ জেলেকে মুচলেকা নিয়ে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬ জনকে ৫৮ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর মধ্যে সদরে ১২ জনকে ৩৮ হাজার এবং চরফ্যাশনে ৪ জনকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। তাছাড়া অভিযানে আটক হওয়া ৪টি মাছ ধরার ট্রলার উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করে জেলা মৎস্য বিভাগ। জব্দকৃত ২৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্টসহ ১৫ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিম ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে আমাদের বেশ কয়েকটি টিম ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্নভাবে পাহারায় আছে। অসাধু জেলেরা নদীতে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা তাদের আটক করতে সক্ষম হচ্ছি। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সদা তৎপর। নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ড নদীতে মৎস্য বিভাগের সমন্বয়ে অভিযান চালাচ্ছে। আশা করছি এবার কোনো জেলে নদীতে নেমে মা ইলিশ নিধন করতে পারবেন না। ইলিশ নির্বিঘেœ ডিম ছাড়তে পারবে বলেও আশাবাদী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
অন্যদিকে ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১লাখ ৩০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যা পরবর্তীতে পুড়িয়ে ভষ্ম করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকতা মাহমুদুল হাসান। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর থেকে সরকার ঘোষিত মাছধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে, যা শেষ হবে আগামী ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে।