নিউজ ডেস্ক:
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী থেকে ১৩ জেলে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) নতুন করে আটকদের মধ্যে সদর উপজেলার তেঁতুলিয়া থেকে ১জন, তজুমদ্দিনের মেঘনা থেকে ৪ জন ও লালমোহনের তেঁতুলিয়া নদী থেকে ৮জন জেলে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১জনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং বাকি অন্যান্যদের ভ্রাম্যমান আদালতে ৩৫ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও এ দুই নদী থেকে ৬২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ৬৬ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। ইলিশ এতিমা খানায় বিতরণ কররা হলেও জব্দবৃত জাল পুড়িয়ে নস্ট করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মৎস্যবিভাগ ও পুলিশের সমন্বয়ে একটি টিম এ অভিযান চালায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ইলিশ শিকারের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বান্তবায়নে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান পরিচালনা করছে মৎস্য বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় যারাই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের চেস্টা করছে তাদের আটক করে জেল জরিমানা করা হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ভোরের দিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ শিকার করার সময় ১ হাজার মিটার জালসহ ১ জেলেকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. রহমাতুল্লাহ। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া লালমোহন উপজেলার বদরপুর ও ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ শিকার করার সময় ৮ জেলেকে আটক করা হয়ে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১১ হাজার মিটার জাল ও দুটি ট্রলার জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই জেলেদের ২৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন। অন্যদিকে তজুমদ্দিনের মেঘনায় অভিযান পরিচালনাক করে ৪ জেলেসহ ৫০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। উল্লেখ্য, ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়ে মা ইলিশ রক্ষায় ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত সব নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ নিষিদ্ধ।