স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলায় গলায় ফাঁস দিয়ে সাইফুল ইসলাম নামের (২৪) যুবক আত্মহত্যা করেছে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল নিজ বাড়ির ঘরের চালের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন অভিযোগ তার পরিবারের।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আজিজুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম রাত্রিবেলা নিজ বাড়ির তার রুমে ঘুমাইতে গিয়েছিল। সকালবেলা পরিবারের লোকজন তাকে সজাগ করতে গিয়ে দেখে ঘরের চালের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ওই সময় পরিবারের লোকজন তাকে ওই ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে উদ্ধার করে। ঝুলন্ত অবস্থায় থেকে যখন সাইফুলকে নামানো হয় তখনই তার পুরো শরীর ঠান্ডা ছিল। এতে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হয় যে সে রাতেই মারা গেছে।
পরিবারের লোকজন আরো জানান, সাইফুল রাতের আঁধারে কোন এক সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের চালের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই বিষয়টি তারা কোনোভাবেই অনুমান করতে পারেননি।
সাইফুল এর বাবা আজিজুল হক জানান, তার ছেলে সাইফুল কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা জানি না। সে বিবাহিত ছিল। তার বউ এর সাথে কোন মনোমালিন্য হয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নাই। তার মৃত্যুতে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন দাবি কিংবা অভিযোগ নেই।
সাইফুলের স্ত্রী মমতাজ বেগম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার স্বামী কি কারনে আত্মহত্যা করেছে আমি জানি না। যেহেতু তিনি মারা গেছেন সেহেতু আমার কিংবা আমাদের পরিবারের কারো এ ব্যাপারে কোন দাবি কিংবা অভিযোগ নেই।
স্থানীয়দের সাথে কথা বললে তারা জানান, সাইফুল ইসলাম খুব ভালো ছেলে ছিল। এলাকায় কারো সাথে কোন ঝগড়া কিংবা খারাপ আচরণ করতে দেখিনি। কি কারনে আত্মহত্যা করল তা আমাদের বোধগম্য নয়।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফেরদৌস মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আত্মহত্যা করেছে এমন সংবাদ আমি পেয়েছি। ঘটনাস্থল আমি পরিদর্শন করব।
ভোলা সদর মডেল থানার এসআই জাফর জানান, সদর উপজেলার চর সামাইয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চাঁনকাজী বাড়িতে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি এবং তার সত্যতা পাই। ঘটনাস্থলে এসে মরদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কি কারনে আত্মহত্যা করেছে তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত নয়।
ময়নাতদন্তে রিপোর্ট বের হলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
ভোলা সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। পুরোতাল প্রতিবেদন এবং ময়নাতদন্ত শেষে আত্মহত্যার বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।