ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় টোল নামক চাঁদাবাজি বন্ধে কোন ধরনের চাঁদাবাজি এই ভোলাতে রইবে না, হাফিজ ভাইয়ের নির্দেশ কোন চাঁদাবাজি চলবে না। এমন নানান স্লোগানে স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বোরহানউদ্দিন উপজেলা রিকশা চালকরা।

৫ই আগষ্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীন হওয়ার পর প্রত্যেক সেক্টরেই পরিবর্তন এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় রিকশা চালকদের আশির্বাদ সরুপ ভোলা জেলার ভোলা সদর উপজেলা, দৌলতখান,লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার পৌর টোল বন্ধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিজ নিজ অপরাধ বা অপকর্মের কারনেই ঘা ডাকা দিয়েছে ইজারাদাররা।
তবে বোরহানউদ্দিনে চলছে ভিন্ন রুপ ৫ ই আগষ্ট থেকে ২/৪ দিন টোল বন্ধ থাকলেও এখন হরহামেশাই চলছে টোলের নামে চাঁদাবাজি।

এই বিষয় নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্ররা দীর্ঘদিন যাবত বোরহানউদ্দিনকে টোল মুক্ত করতে চাইলেও আইনের মাইরপ্যাচে ব্যার্থ হয়েছে ছাত্ররা।

তবে আজ ১ সেপ্টেম্বর রবিবার দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র সকাল ৯ টার দিকে টোল বা চাঁদা দিবে না বলে ঘোষণা দেন রিকশা চালকরা, বোরহানউদ্দিনে টোল সংগ্রহকারীদের সাথে এ নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রুপ নেয়।
পরে রিকশা চালকরা প্রথমে পলিটেকনিকেলের সামনে বিক্ষোভ ও পরে বোরহানউদ্দিন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান কর্মসূচি করে।
পরবর্তীতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভবনের নিচে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে টোলের নামে চাঁদবাজি বন্ধের দাবি জানান তারা।

এই বিষয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে, বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হানুজ্জান বলেন, এই বিষয় আমার কিছুই করার নেই, তবে বর্তমানে পৌরসভার দায়িত্বে আছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ভূমি) তিনি যদি পারেন ইজারাদারদের সাথে সমন্বয় করে কিছু একটা করতে পারেন।

পরিশেষে, স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র, বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পৌরসভার কর্মকর্তাবৃন্দ, ইজারাদার, সাধারণ ছাত্র, রিকশা চালক ও সাংবাদিকদের নিয়ে কয়েক ঘন্টার মতবিনিময় কালে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন, যে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স ২৩০০ টাকা থেকে কমিয়ে এনে অর্ধেক বা তারও কমে আনা হবে, আর পূর্বের নির্ধারিত ৩৫ টাকার ফি ২৫ টাকা, ২০ টাকার ফি আগের মতই থাকবে।

এই সিদ্ধান্তে রিকশা চালক প্রতিনিধিরা মানলেও কিছু কিছু রিকশা চালকরা ভিন্ন ভিন্ন বিরুপ মন্তব্য করেন।

পরে বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির, সহ-সভাপতি পৌর বিএনপির সাইদুর রহমান লিটন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক পৌর বিএনপির শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, সভাপতি পৌর ছাত্রদল-রায়হান আহমেদ শাকিল সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘ ১৫/১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার দেশটা লুটেপুটে খেয়েছে, কেউ মুখ খুলে কথা বলেনি,এখন দেশ স্বাধীন হওয়ায় সবার দাবি একত্রে চাওয়াতে বর্তমান সরকারের কর্মকর্তারা হিমসিম খাচ্ছে। তারপরও ভোলা ২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব  হাফিজ ইব্রাহিম এর নির্দেশে আমরা আশ্বাস দিয়েছি আমরা রিকশা চালকদের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবো।