বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম এর পক্ষ থেকে বস্ত্র বিতরন ও মন্দিরে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার আয়োজনে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার উপজেলা কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপে এই আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখাঁনে হিন্দু ধর্মের লোকজন নির্ভয়ে পূজা উদযাপন করতে পারবে। আমরা তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো। দেশের সকল ধর্মের মানুষ যেন স্বাধীনভাবে যার যার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। পূজা উদযাপনে যাতে কোনো প্রকার সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে বিএনপির পক্ষ থেকে পূজার সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসন কে সহযোগিতায় নিয়োজিত আছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে আমাকে, গরু চুরি, মাছ চুরি, মোবাইল চুরি সহ সব মামলা আমাকে দিয়েছে তোফায়েল আহমেদ ও তার ভাতিজা আলী আজম মুকুল ও মেয়র রফিক। কিন্তু আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না তাই তাদের বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা দেইনি।
হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির আগের তুলনায় এখন কমে গেছে, তিনি মুসলমানদের মসজিদের তুলনা করে বলেন, কই আমাদের তো মসজিদ কমছে না, আপনাদের মন্দির কমে যাওয়ার কারণ কি ছিল।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ হিন্দু সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে তাদের শ্মশান (কবরস্থান) পর্যন্ত বিক্রি করে দিয়েছে, আমি যখন শুনেছি তখন ঠেকিয়েছিলাম। সাড়ে ১৭ বছর পর দ্বিতীয় স্বাধীনতার ফল সবাই সমানতালে ভোগ করতে পারবেন।
আমাকে তোফায়েল আহমেদ ও তার ভাতিজা মুকুল হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, ২০১৪ সালের পর থেকে এখানে আমার আসা এক প্রকার নিষিদ্ধ ছিল, তারপরও আমি স্বাধ্যমত অনুদান পাঠিয়েছি। আমার দ্বারা কোন দূর্ণীতি আওয়ামী লীগ সরকার প্রমাণ করতে পারেনি।
আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করলে তাদের ভালোবাসার লোকগুলো কই এখন, তারা খারাপ করছে বলেই পালিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে কষ্টার্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতা এই স্বাধীনতা কে বিনষ্ট করতে আওয়ামী প্রেতাত্মারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে কিন্তু সকলের সহযোগিতায় আমরা সকল ষড়যন্ত্র কে রুখে দিবো।
হাফিজ ইব্রাহিমের এই উদ্যোগকে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ প্রশংসা করেন এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বোরহানউদ্দিন শাখার সভাপতি লিটন রক্ষিত, সাধারণ সম্পাদক বিল্টু চন্দ্র দাস, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির মিয়া, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা আকবর হাওলাদার, পৌর বিএনপির সহ সভাপতি আলী আকবর পিন্টু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান লিটন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম, দৈনিক খবরপত্রর স্টাফ রিপোর্টার কাজী ইকবাল, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম মিঠু, পৌর যুবদল সভাপতি হেলাল মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মৃধা, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব শিপন হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রদল সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শাওন, পৌর ছাত্রদল সভাপতি রায়হান আহমেদ শাকিল, সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান ফাহিম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হাওলাদার সহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।