স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলার পশ্চিম ইলিশায় চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে পশ্চিম ইলিশার লার্ড গ্রুপদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৪ই অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পশ্চিম ইলিশার ৪নং ওয়ার্ড বান্দের পাড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে দু’জন পুরুষ ও দুজন নারী বর্তমানে ভোলা সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা হলেন, স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন বয়াতি ও সোহাগ বয়াতি, এবং তাছলিমা ও নাছরিন বেগম।
অভিযুক্তরা হলেন, লার্ড গ্রুপের প্রধান রমজান লার্ড, এমরান লার্ড, ইমন লার্ড, মোঃ সুমন, মোঃ সাগর, দিদার লার্ড, জুয়েল, রাজিব, হোসেন ও শাকিল। তারা সবাই পশ্চিম ইলিশার ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশার হাওলাদার মার্কেট সংলগ্ন খালে ভোলার বাহিরের ব্যবসায়ীরা দধির টালি বিক্রি করার জন্য আসে। তাদেন কাছ থেকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন রমজান লার্ড। পরে ওই ব্যবসায়ী চাঁদার বিষয়টি স্থানীয় সেচ্ছাসেবক দল নেতা সুজন বয়াতিকে জানালে তিনি অভিযুক্ত রমজান লার্ডকে মুঠোফোনে চাঁদার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন।
চাঁদাবাজীর বিষয়ে অভিযুক্ত রমজান লার্ডকে জিজ্ঞাসা করায় ক্ষীপ্ত হন তিনি। পরে এই ঘটনার জেরে শুক্রবার (৪ই অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে লার্ড গ্রুপের প্রায় ১০/১২জন মিলে সুজন বয়াতির বাড়ীতে গিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সুজন বয়াতি ও তার ভাই সোহাগ বয়াতির মাথায় গুরুত্বর জখম হয়। পরে তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। তাদের দু’জনের মাথায় অত্যন্ত ৭/৮টি করে সেলাই করতে হয়েছে। এছাড়াও বাড়ীতে থাকা দুজন নারী তাছলিমা ও নাছরিন ছাড়াতে আসলে তাদের উপরও হামলা করেন। তাদের শরীরে বিভিন্ন যায়গায় জখমের চিহৃ দেখা গেছে।
এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মিজান নামের একজন জানান, লার্ড গ্রুপদের অপকর্মের কারণে পশ্চিম ইলিশার মানুষ তাদের কাছে জিম্মি, এছাড়াও তারা ওই এলাকায় ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলে অর্থাৎ ওই সরকারে ক্ষমতা দেখিয়ে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবন করতেন। বতর্মানেও তারা
তাদের অপকর্ম অব্যহত রেখেছেন। এছাড়াও অসহায় মানুষদের জমি দখল ও প্রকাশ্যে চাঁদাবাজী তাদের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিবাদ করলেই হামলা মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেন তারা।
সমসাময়িক ঘটনায়ও একই চিত্র। প্রকাশ্যে চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করায় সুজন ও সোহাগ বয়াতিদের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন এই লার্ড গ্রুপ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রমজান লার্ডের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে রিসিভ করেননি ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান পাটাওয়ারী জানান, ঘটনা শুনে অভিযোগ নিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।