স্টাফ রিপোর্টার:
লালমোহনে আপন সন্তান কর্তৃক মারপিটের শিকার হলেন বৃদ্ধ মা মনেজা খাতুন (৬০)। মারপিট ঠেকাতে গিয়ে পুত্রবধুর তাছনুর (২৮) কে ইট মেরে কপাল ফাটিয়ে দিল মনেজা খাতুনের ছোট ছেলে তাছনুরের দেবর মো. ফরিদ (৩০)। গুরুতর আহত তাছনুর বর্তমানে লালমোহন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। লালমোহন হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাছনুরকে ভোলা হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন এবং মাথার সিটি স্ক্যান করতে বলেছেন। দরিদ্র তাছনুরের পরিবার টাকার অভাবে ভোলা নিয়ে চিতিৎসা করাতে না পেরে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করে রেখেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড গজারিয়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে রফিজল ঘরামির বাড়িতে।
বৃদ্ধা মনেজা বেগম জানান, আমার দুই ছেলে মিলন ও ফরিদ একই ঘরে আলাদা থাকে। মিলন ঘরের সামনে অটোরিক্সায় চার্জ দেয়। সোমবার সকালে ছোট ছেলে ফরিদ মিলনের রিক্সা চার্জ দেয়ার যায়গায় গাছ ও টিন দিয়ে বেড়া দিতেছিল। আমি দেখে তাকে ডাক দিলে সে ঘরের বেড়া ভাংচুর শুরু করে। এতে মিলনের অটো রিক্সার মালামাল পরে যায়। আমি ফরিদকে ডাক দিলে সে আমাকে মারতে আসে এবং আমার গায়ে হাত দেয়। আমাকে মারতে দেখে মিলনের স্ত্রী তাছনুর আমাকে ধরতে আসলে ফরিদ আমাকে ছেড়ে দিয়ে সেখানে থাকা ভাঙা ইট সাজোরে তাছনুরকে মারে। ইট তাছনুরের কপালে লাগে এবং তাছনুর পড়ে যায়। পরে দেখি তাছনুরের কপাল থেকে রক্ত পড়ছে এবং বেশ বড় গর্ত হয়ে কেটে গেছে। পরে আমরা তাছনুরকে নিয়ে লালমোহন থানায় আসি। লালমোহন থানা থেকে বলেছে আগে হাসপাতালে গিয়ে রোগীকে চিকিৎসা করান। পরে এর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন আমরা লালমোহন হাসপাতালে আছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফরিদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমার মা আমাকে জুতা দিয়ে মারধর করেছে এবং ভাবি আমাতে ইট মেরেছে সেই ইট আমি ঠেকাতে গিয়ে তার কপালে পরে কপাল কেটে গেছে।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জানি নারীর গায়ে হাত দেয়া এবং কপালে গভীর ক্ষতচিহ্নসহ ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। ভিকটিম এখনো হাসপাতালে ভর্তি। সুস্থ হয়ে তারা অভিযোগ দেয়ার কথা। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনআনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।