দৌলতখান প্রতিনিধি:
ভোলার দৌলতখানে কৃমির ঔষধ খেতে গিয়ে ভুলবশত কীটনাশক খেয়ে মারা গেলেন এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ৯টায় দৌলতখান উপজেলার মধ্য জয়নগর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে মেয়েটি কীটনাশক পান করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মৃত আসফিয়া বেগম (১৭) ওই ওয়ার্ডের মো. হোসেন সিকদারের মেয়ে এবং একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। হোসেন সিকদারের ৪ ছেলে-মেয়ের মধ্যে আসফিয়া সবার বড়। সে বাংলাবাজার ফাতেমা খানম কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
মৃত আসফিয়ার বাবা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আসফিয়ার হঠাৎ করে পেটের ব্যথা শুরু হয়। এসময় সে কৃমির ঔষধ খেতে গিয়ে ভুলবশত কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসফিয়ার মৃত্যু হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে কোনো ছেলের প্রেম-ভালোবাসা ছিল না। এবং পরিবারের সঙ্গেও আসফিয়ার সম্পর্ক ভালো ছিল। সে আমাদের আদরের মেয়ে। ঘরে কৃমি ঔষধের বোতল এবং কীটনাশকের বোতল পাশাপাশি রাখা ছিল। দুটি বোতলের রং প্রায় একই। আসফিয়া ভুলবশত কৃমির ঔষধ না খেয়ে কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। মুখের মধ্যে সে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে চিৎকার করে ওঠে। এরপর কীটনাশকের দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বহু চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারিনি। কীটনাশক পান করার ৬ ঘন্টা পর আসফিয়ার মৃত্যু হয়।
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে এবং এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।