স্টাফ রিপোর্টার:
ভোলার চরসামাইয়া ইউনিয়নে বড় মেয়ের জামাই ও তিন নাতীর বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিজেদের নামে নেওয়া ও সম্পত্তি বিক্রির টাকা আত্মসাতে অভিযোগ উঠেছে।
অন্য শরিকদের বঞ্চিত করে বড় মেয়ের জামাই মৌলভী মোঃ লোকমান ও নাতী মাওঃ তরিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম এই প্রতারনা করায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন আমাতুন আজিজ ওরফে হাসিনা খাতুন। রোববার (১৩ অক্টোবর) ভোলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রতারনার শিকার আমাতুন আজিজ ওরফে হাসিনা খাতুন এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমাতুন আজিজ ওরফে হাসিনা খাতুন বলেন পক্ষে তার ছেলে লিখিত বক্তব্যে বলেন ,আমার সংসারে ৩ পুত্র ও ৫ কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে। আমার বড়ো জামাই ও ঐ ঘরের নাতনিরা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে কাগজে পত্রে স্বাক্ষর নিয়ে আমার জায়গা জমি সব লিখে নিয়ে গেছে । এই প্রতারনা করে অন্য শরিকদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করেছে তারা। তখন আমি শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ ছিলাম ।
তারা আমার ১৫৩১নং খতিয়ানের ৪১৮৩, ৪২০২নং দাগের ৭৮ শতাংশ জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা, ৩৫০নং খতিয়ানের ৪১৯৫ নং দাগের ৬৫ শতাংশ জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য পয়ষট্টি লক্ষ টাকা, ১১৮নং খতিয়ানের ৩১২০, ৩১১৩নং দাগের ১৩ শতাংশ জমি যার বর্তমান বাজার মূল্য ছয় লক্ষ টাকা আত্মসাত করে। বাগান লগ্নির চুরাশি হাজার ও অন্যান্য জমি বিক্রির চার লক্ষ চৌদ্দ হাজার টাকা তাদের কাছে আমানত হিসেবে রাখলে সেগুলো আত্মসাৎ করে। এছাড়াও ৩৫০নং খতিয়ানের ২৪ শতাংশ জমির বসতঘর বাড়ি এবং ১১৮নং খতিয়ানের ৩১২০, ৩১২৫ নং দাগসহ অন্যান্য দাগের অবশিষ্ট জমিগুলোও তাদের নামে নিয়েছে।
প্রতারনা করে আমার এই সম্পত্তি বিক্রির টাকা দিয়ে তরিকুল ইসলাম ভোলার আবহাওয়া অফিস রোড সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং মোটরসাইকেল কিনেছে।
জীবিত থাকা অবস্থায় আমার অন্যান্য শরিকদেরকে সম্পত্তি সঠিকভাবে বন্টন করতে চাই। যাতে আমার সম্পত্তি থেকে কেউ বঞ্চিত না হয়। আমি উক্ত সম্পত্তি যাতে ফেরত পেতে পারি সে জন্য প্রশাসনের সহযোগী কামনা করছি।