নিউজ ডেস্ক:
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, কোনো প্রকল্পের সময় ও খরচ আর বাড়ানো হবে না। এটা ধরেই সবাইকে কাজ করতে হবে। সময়ের মধ্যে করতে না পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলমান জ্বালানি সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্যাসের মজুত কমে আসায় জ্বালানি–সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করতে হচ্ছে সরকারকে।
সংকট সমাধানে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, বঙ্গোপসাগরে গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বরে নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই সাতটি কোম্পানি আগ্রহ দেখিয়েছে। আর স্থলভাগে ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খননের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ১৫টি কূপ খনন করা হয়েছে। এসব কূপ থেকে দিনে ১৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন করার মতো গ্যাস পাওয়া গেছে, ৭৬ মিলিয়ন ঘনফুট জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। পাইপলাইন না থাকায় বাকিটা দেওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আরও ৩৫টি কূপ খনন করা হবে। এর মধ্যে ১২টি বাপেক্স করবে, যার একটির কাজ চলছে। বাকি ২৩টি কূপ খননে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে করা হবে, যার চারটি দরপত্র আহ্বান করা হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০২৮ সালের মধ্যে আরও ১০০টি কূপ খনন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। স্থলভাগের ৬৯টি কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো হবে। এর মধ্যে ৩৩টি কূপে অনুসন্ধান করবে বাপেক্স। আরও ১০টি অনুসন্ধান কূপ করা হবে রিগ ভাড়া করে। এর বাইরে ২৬টি কূপ খনন উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। ফলে গ্যাসের সংকট অনেকটা কেটে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদসচিব মো. নূরুল আলম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।