তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ
ভোলার তজুমদ্দিনে যোগদানের পর দীর্ঘ দুই বছর যাবত অফিস না করে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলতেন উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী। অফিসে না এসে সে তার গ্রামের বাড়িতে থেকে ইয়াবা সেবন ও ক্রয়-বিক্রয় করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে হাজতে রয়েছে।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৮ই জানুযারী সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হিসেবে তজুমদ্দিনে যোগদান করেন আবু জাফর মোঃ সাইদুর রহমান। যোগদানের পর থেকে দুই বছর ২৪দিন অতিবাহিত হলেও দৈনিক হাজিরা খাতায় সাইদুর রহমানের কোন স্বাক্ষর নেই। এ থেকে প্রমাণিত হয় তিনি দুই বছরে একদিনও অফিস করেনি। তবে উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান সাইদুর রহমান মাঝে মাঝে অফিসে আসার দাবী করলেও হাজিরা খাতায় কোন স্বাক্ষর দেখাতে পারেনি। মেহেদী হাসান সাইদুর রহমানের অসুস্থতার কথা বললেও অফিসিয়ালি কোন প্রমাণ বের করতে পারেনি। অভিযোগ আছে সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সাইদুর রহমান তজুমদ্দিনে অফিস না করে অফিসের অন্যদেরকে ম্যানেজ করে তার গ্রামের বাড়িতে থেকে ইয়াবা সেবনসহ বিক্রি করতেন। গত ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যায় পটুয়াখালীর দশমিনায় ইয়াবা কেনাবেচার সময় ১শত পিজ ইয়াবাসহ সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু সাইদ মোঃ সাইদুর রহমান (৩৮) গ্রেপ্তার হন। আটক সাইদুর রহমান বাউফল উপজেলার বাউফল সদরের খলিলুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নে দক্ষিণ বগুরা গ্রামের বাচ্চু গাজীর বসত ঘরে ইয়াবা ক্রয়- বিক্রয়ের সময় সাইদুর রহমানসহ তিনজনকে ইয়াবাসহ আটক করেন। আটক করার পর বাচ্চু গাজীর ঘর তল্লাশি করে ১১৫, সাইদুর রহমানের কাছ থেকে ১০০ ও মারুফ বিল্লা সুমনের কাছ থেকে ১০৭ পিচ ইয়াবা জব্দ করা হয়। দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাহামুদ, সগির, মাসুম বিল্লাহ সহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
তজুমদ্দিন উপজেলার উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আবু জাফর মোহাম্মাদ সাইদুর সহমান তজুমদ্দীন উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে দুই বছরের অধিক সময় কর্মরত। তার বিভিন্ন অনিয়মের জন্য ইতিমধ্যে তাকে ৫টি শোকজ করা হলে তিনি কোন জবাব দেননি। ইয়াবাসহ আটক হওয়ায় তার বিষয়টি দপ্তর দেখবে বলেও জানান।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভোলার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান বলেন, কর্মকর্তারা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করলেও সমস্যা নেই। তবে সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবু জাফর মোঃ সাইদুর রহমান বিভিন্ন সময় শারীরিকভাবে প্রায় সময় অসুস্থ্য থাকতেন। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি লেখা হয়েছে। সাইদুর রহমানের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা অধিদপ্তর গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।